শিক্ষা শুধু জ্ঞান অর্জন করাই নয়। শিক্ষার মাধ্যমে একজন মানুষের পরিপূর্ন মানসিক ও আত্মার উন্মোষ ঘটে। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। একজন মানুষের অস্তিত্ব টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন সু-শিক্ষা। পরিপূর্ণ শিক্ষা মানুষের জীবনকে আলোকিত করে।
“স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায়…. এই শ্লোগনকে সামনে রেখে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সোনালী ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার মূলনীতি হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের চরিত্রবান, আদর্শ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে তৈরি করা।
সৃজনশীল শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র-ছত্রীদের মননশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে একটি উন্নত মানবসম্পদ গড়ে তোলা। ছাত্র-ছাত্রীদের সুশিক্ষা ও মান-উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ সফলতার সাথে এগিয়ে যাবে এটা আমার বিশ্বাস। আগামী দিনে ’স্মার্ট বাংলাদেশ” গঠনে কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এটা আমার প্রত্যাশা
শিক্ষা জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল উচ্চমাধ্যমিক স্তর। এই স্তরের ফলাফলের উপর নির্ভর করে উচ্চশিক্ষা তথা ভবিষ্যৎ জীবনের পথ। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তরুণদের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া। পুরিপূর্ণ শিক্ষা মানুষের জীবনকে আলোকিত করে।
আলোকিত মানুষদের ভালবাসার অনুভূতি থেকে শিক্ষক হওয়া। তাঁদের প্রেরণা থেকে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সোনালী ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপাদানের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কলেজে রয়েছে একঝাঁক অভিজ্ঞ সৃজনশীল বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক। কলেজটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস, রাজনীতি ও ধূমপান মুক্ত পরিবেশ।
শিক্ষাজগতে তরুণদের মন জয় কারর মতো সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সকল কার্যক্রমের আয়োজন করেছে কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থকবে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম, যুগোপযোগী পাঠ পরিকল্পনা, সফল হওয়ার জন্য যৌক্তিক নিয়ম-কানুন।
স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায়… এই স্লোগানকে নিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রাণ কেন্দ্রে বাগিচাগাঁও (ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন) কয়েকজন শিক্ষানুরাগীর উদ্দ্যেগে প্রতিষ্ঠিত হয় কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ।
২০৪১ সালের মধ্যে “স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মানের লক্ষ্যে আধুনিক ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানের লক্ষ্য সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের দৈনন্দিন শিক্ষাকার্যক্রম কথা লেখাপড়ার প্রতিটি ক্ষেত্রে যখন আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে তখনই পর্যায়ক্রমে এদেশের প্রতিটি মানুষ দক্ষ নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠবে এবং আত্মকর্মসংস্থান মূলক বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নিজস্ব কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পরবে। যার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার শত ভাগ স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।
আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনায় কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণে প্রতিয়েঅগিতার বিশ্বে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশাকে বুকে ধারণ করে ২০৪১ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
এ কলেজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে।